মোবাইলের জন্য ৫টি সেরা ফটো এডিটিং অ্যাপ

সেরা ফটো এডিটিং অ্যাপ - বর্তমানে আমরা ফেসবুক ইনস্টাগ্রাম থেকে শুরু করে সকল ধরনের সোস্যাল মিডিয়াতে ঢুকলেই আমরা দেখতে পাই যে অরজিনাল ফটো আর কেউ আপলোড করেনা। সবাই নিজেদের স্মাার্টফোনে সেরা ফটো এডিটিং অ্যাপ গুলো ব্যবহার করে এডিট করে ফটো আপলোড করেন।তাই আজকের আর্টিকেলে আমরা জানবো মোবাইলের জন্য সেরা ৫টি ফটো এডিটিং অ্যাপ সম্পর্কে।

 আশা করি আজকের আর্টিকেলটি আপনাদের একটু হলেও সাহায্য করবে। তো চলুন একে একে জেনে নেওয়া যাক প্রত্যেকটি অ্যাপ সম্পর্কে।

Snapseed-সেরা ফটো এডিটিং আ্যপ
নিঃসন্দেহে Android ও IOS ব্যবহারকারীদের কাছে মোবাইল ফটো এডিটর হিসেবে Snapseed অন্যতম পছন্দের একটি নাম। গুগল প্লে স্টোরে এর ডাউনলোডকারী সংখ্যা 100 মিলিয়ন এর অধিক।

এই সফটওয়্যার টি তে সব ধরনের ডিজিটাল ফিচার থাকার কারণে পেশাদার অথবা অপেশাদার সকলের কাছেই সেরা ফটো এডিটিং আ্যপ হিসেবে সমানভাবে জনপ্রিয় এবং সিম্পল ফটো এডিটিং সফটওয়্যার হিসেবে ব্যবহার করতে সহজ বলে কমবেশি সবাই করতে পছন্দ করে। 

Snapseed এর গুরুত্বপূর্ণ ফিচারস গুলি
  •  ট্যাপ ছাড়াই শুধুমাত্র সোয়াইপ এর মাধ্যমে ছবি এডিট করা সম্ভব।
  •  ফটো এডিটিং এর জন্য রয়েছে প্রচুর পরিমানের ফিল্টার।
  •  খুব কম সময়ের মধ্যে যে কোন ফটো তে ভাল আউটপুট পাওয়া যায়।
  •  নরমালি ফটোতে টেক্সট বসানোর জন্য আকর্ষনীয় টেক্সট প্রী-সেট করা রয়েছে।

আপনি যদি বেসিক ফটো এডিট করতে চান তাহলে এই সফটওয়্যার টি ব্যবহার করে দেখতে পারেন।

PicsArt-সেরা ফটো এডিটিং আ্যপ
ফটোগ্রাফারদের মধ্যে অন্য আরেকটি যে এডিটিং অ্যাপ জনপ্রিয় সেটি হল PicsArt. এই অ্যাপটি তেও প্রায় সব ধরনের ডিজিটাল ফিচারস এর সাথে সাথে ড্রইং টুলস, হাইলি অ্যাডজাস্টেবল ফিল্টার্স, বিভিন্ন ধরনের ইফেক্টস রয়েছে। 

যা এডিটিং কে করে আরো আনন্দদায়ক। এছাড়াও এতে রয়েছে নিজস্ব সোশ্যাল নেটওয়ার্ক যাতে করে আলাদা আলাদা কমিউনিটিতে নিজের ফটো এডিটিং শেয়ার করা যায় এছাড়াও অন্যান্য সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট তেও সরাসরি শেয়ার করা যায়।

আরো পড়ুনঃ সেরা ৫টি ভিডিও এডিটিং আ্যপ

Photo Editor Pro-সেরা ফটো এডিটিং আ্যপ

প্রফেশনাল ফটোগ্রাফারদের মধ্যে আরেকটি জনপ্রিয় এডিটিং সফটওয়্যার হল Adobe Photoshop Pro. আরো নতুন নতুন আপডেটেড ফিচার এবং সময় সাশ্রয়ী ব্যবহার এটিকে জনপ্রিয় করে তুলেছে।

 এ সফটওয়্যার ছবি অর্গানাইজিং এ সহজ এবং সফটওয়্যার হতে দ্রুত ট্রান্সফার করা যায় এর ফিচারসমূহ আরো অনেক সম্ভাবনার সৃষ্টি করে যা আমাদের সৃজনশীলতাকে ফুটিয়ে তুলতে বিশেষ ভাবে সাহায্য করে

আরো জানুনঃ ব্লগিং করার সেরা ৫ টি টপিক

Adobe Lightroom- সেরা ফটো এডিটিং আ্যপ 


তালিকায় 4 নাম্বার আছে আমাদের অনেকের পছন্দের Adobe Lightroom.পেশাদার বা raw ফটোগ্রাফারদের জন্য Adobe Lightroom নির্ভরযোগ্যতার নাম। এই অ্যাপ ছবিকে কৃত্রিমভাবে তুলে না ধরে ছবির নিজস্বতাকে বজায় রাখে। 

এছাড়া ছবি এডিটিং সহজ এবং টিউনিং ও এডজাস্টমেন্ট অনেক বেশি পরিণত। এই অ্যাপের মাধ্যমে নিজস্ব ছবির কালেকশন কিবোর্ড ইমেজেস, ব্যাচ প্রসেস ইত্যাদি সম্ভব তাই ফটোগ্রাফারদের বড় একটি অংশের অন্যতম প্রিয় Adobe Lightroom. 

VSCO - সেরা ফটো এডিটিং আ্যপ

কার পাঁচ নম্বরে আছে অপেক্ষাকৃত নতুন কিন্তু খুব কম সময়ে জনপ্রিয়তা পাওয়া VSCO. বিশেষ করে কম বয়সি ব্যবহারকারীদের মধ্যে এটি অল্প সময়ে ব্যাপক সাড়া ফেলতে পেরেছে।

VSCO এর ফটো এডিটিং এডজাস্টমেন্ট, ব্রাইটনেস এডজাস্টমেন্ট, কালার ব্যালেন্স, স্যাচুরেশন পসিবিলিটি অন্যান্য অনেক অ্যাপ এর থেকে উন্নত ও সময়োপযোগী। অনেক ইউজার এর কাছে এটি ইন্সটাগ্রাম এর থেকেও বেশি উপযোগী। 

উপরের সব অ্যাপই অ্যান্ড্রয়েড ও এর জন্য উপযোগী। ইউজাররা চাইলেই গুগোল প্লে স্টোর থেকে বিনামূল্যে ডাউনলোড করতে পারবে। সবগুলো অ্যাপ ই ব্যবহার করা খুবই সহজ এবং ইউটিউব এর যেকোনো টিউটোরিয়াল থেকে আমরা সহজেই এর সব রকম ফিচারস ও কার্যকারিতা জানতে পারবো

শেষ কথাঃ 

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আজকের সেরা ৫ টি ফটো এডিটিং অ্যাপ আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ার জন্য। আশা করি ভালো লেগেছে। আমাদের সাথেই থাকুন। ভালো লাগলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন।ধন্যবাদ। 

JSON Variables

{ relatedPostsNum: "4", viewAllText: "View all", followByEmailText: "Get all latest content delivered straight to your inbox.", commentsSystem: "blogger", disqusShortname: "templateify-theme" }

Logo

{getFeatured} $results={5} $label={recent}

Main Tags